মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
মরিঙ্গা পাতার গুড়তে অনেক পুষ্টিকর গুন থাকে বলা হয়ে থাকে। মরিঙ্গা পাতা বা
সাজনা পাতা একটি ভেষজ উদ্ভিদ যাকে আমরা সবজি হিসেবে বেশি চিনে থাকি। তবে এর পুষ্টি
উপাদান অন্য সকল সাধারণ সবজি থেকে অনেক বেশি এবং একে মাল্টি ভিটামিনের আধার বলা
হয়। সচরাচর এই ভেষজ সবজি আমরা শীতের পরে থেকে বাজারে দেখতে পাই তবে সজনে ডাঁটা
থেকে এর পাতার পুষ্টিগুণ আরো বেশি। এই কারণে বিশ্বব্যাপী মরিঙ্গা বা সজনে পাতার
গুড়ার এত এত চাহিদা। যাই হোক আমাদের আজকের লেখায় আমরা মরিঙ্গা পাউডার কি কিভাবে
খাওয়া হয় এবং বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
সূচিপত্র: মরিঙ্গা পাতা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে নিম্নে দেয়া হলো,
- class="alert"
- মরিঙ্গা পাউডার কি
- মরিঙ্গা পাউডার কিভাবে বানায়
- মরিঙ্গা পাউডার খেলে কি কি উপকার হয়
- মরিঙ্গা পাউডার দিনে কতটুকু খাওয়া উচিত
- মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম
- সৌন্দর্য ধরে রাখতে মরিঙ্গা পাউডার এর ব্যবহার
- মরিঙ্গা ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম
- মরিঙ্গা পাউডারের সুবিধা কি কি হতে পারে
- মরিঙ্গা পাউডার মুখে দিলে কি হয়
- মরিঙ্গা পাউডারের দাম
- মরিঙ্গা পাউডারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
মরিঙ্গা পাউডার কি
মরিঙ্গা পাউডার একটি মাল্টিভিটামিন সুপার ফুড বলা হয় এবং এর গাছ মিরাক্কেল ট্রি
হিসেবে সুপরিচিত। প্রাকৃতিক পুষ্টিগণের আধার সজনে সম্পর্কে আমাদের সবার ধারণা
আছে। সজনে বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে মরিঙ্গা ওলিইফে। একটি ভেষজ উদ্ভিদের নাম। সজনে
ডাটা আমাদের দেশে সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। সজনে পাতার গোড়াই অকল্পনীয় পুষ্টি
উপাদান থাকে যা আমাদের গতানুগতিক খাদ্য থেকে অনেক বেশি। বিশেষ করে এতে সকল ধরনের
অ্যামিনো এসিডসহ বিভিন্ন প্রকার খনিজ উপাদান থাকে। মরিঙ্গা পাউডারে ক্যালসিয়াম,
পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি সহ অন্যান্য উপাদান রয়েছে।
সর্বপরিব এই খাবার দেহের জন্য অনেক বেশি পুষ্টি সরবরাহ করে অনেকগুলো খাবার একসাথে
খেলেও এই পুষ্টি পাওয়া যায়।
মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার পাউডার কিভাবে বানায়
মরিঙ্গা পাতা কাঁচা অবস্থায় যেমন পুষ্টিকর শুকানো অবস্থায় এর পুষ্টিগুণ কমে না। গাছ থেকে ফ্রেশ পাতা ছিড়ে প্রথমে ডগা থেকে পাতা আলাদা করে নিতে হবে। যেন কোন ডালপালা না থাকে। পাতাগুলো ছিড়ে নিয়ে তারপর এগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। তবে সাজনা পাতায় খুব বেশি ময়লা থাকে না তাই এটা বেশি ধোয়া প্রয়োজন পড়ে না। ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরা দিয়ে রোদে ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে। সজনে পাতা শুকাতে বেশি সময় লাগে না এক থেকে দুই দিন এর মধ্যে দেখবেন শুকিয়ে গেছে। স্টিলের পাত্রে দিলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় যাদের রোদের সমস্যা তারা সজনেপাতা গ্যাসের চুলার নিচে স্টিলের পাত্রে দিয়ে শুকিয়ে নিতে পারেন। তবে মনে রাখবেন সজনা পাতা খুব ভালো করে শুকিয়ে নিতে হবে না শুকালে বেশিদিন সংরক্ষণ করা যাবে না। এবার শুকনা সাজনা পাতা ব্লেন্ডার সাহায্য গুঁড়ো করে নিন। ভালো করে মিহি করে গুঁড়ো করতে হবে।
গুড়ো করা হয়ে গেলে চেলে নিতে পারেন এতে দানা দানা থাকলে বের হয়ে আসবে। এরপর শুকনা একটি পাত্র রেখে দেন। যারা সবসময় সাজনা পাতা পান না তারা এভাবে রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রেখে দিতে পারেন।
মরিঙ্গা পাউডার খেলে কি কি উপকার হয়
মরিঙ্গা পাউডার খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। যেমন,
শারীরিক উপকারিতা: মরিঙ্গা পাউডারের শক্তিশালী আন্টি অক্সিডেন্ট উপস্থিত থাকে যা শরীরের বিভিন্ন অবস্থানে মুক্ত রেখে এবং রোগজনিত কোষ সংক্রমণ দমন করতে সাহায্য করতে পারে।
জিগরের স্বাস্থ্য কে উপকারিতা: মরিঙ্গা পাউডার অনেক উচ্চ সক্রিয়ত্ব প্রোটিন ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস রয়েছে যা জিজ্ঞেস স্বাস্থ্যকে সাহায্য করতে পারে।
স্কিন স্বাস্থ্য উপকারিতা: মরিঙ্গা পাউডার অনেক আন্টি ব্যাকটেরিয়াল ও এন্ড টি ফাঙ্গাল গুণ রয়েছে যা ত্বকের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে।
আমলতা নিয়ন্ত্রণে উপকারিতা: রোহিঙ্গা বর্ডারে প্রচুর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ থাকা সবচেয়ে উপকারিতা হলো আমলতা নিয়ন্ত্রণ করে।
মজুদ অস্থি মাংস স্বাস্থ্য উপকারিতা: মরিঙ্গা পাউডারের ভিটামিন এ রয়েছে যা অস্থি ও মাংসের স্বাস্থ্যকে সাহায্য করে।
পুষ্টিগুণের সমৃদ্ধ: মরিঙ্গা পাড়ার প্রচুর ভিটামিন এ সি ই আইরন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হাড় কে শক্তিশালী করে তোলে।
ওজন কমাতে সহায়ক: এতে থাকা ফাইবার ও কম ক্যালোরির কারণে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বি পোড়াতে সহায়ক করে।
রক্তচাপ ও সুগার নিয়ন্ত্রণের সহায়: মরিঙ্গা পাউডার রক্তচাপ কমাতে এবং রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে, যার ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের প্রতিরোধে সহায়ক।
উদ্যম ও শক্তি বৃদ্ধি: মরিঙ্গা পাউডার প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার উপাদান রয়েছে যা শরীরের শক্তি যোগায় ও ক্লান্তি দূর করে।
মরিঙ্গা পাউডার একটি প্রাকৃতিক শক্তি যা শরীরের সুস্থ ও সুপ্রিয় রাখতে দারুন কার্যকর। প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে মরিঙ্গা পাউডারের যোগ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং শরীর থাকবে কর্মক্ষম।
মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম ও গুণাবলী
মরিঙ্গা পাউডার বা সজনেপাতা গুঁড়ো একটি সুপার ফুড মানব শরীরে জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল ভিটামিন ও মিনারেল উপাদান এই পাড়ার উপস্থিত উপর ভিত্তি করে পুষ্টি বিশেষ গণ প্রতিদিন মরিঙ্গ পাউডার খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষ করে সকালে দুপুরে ও রাতে যে কোন সময় এই খাবার খাওয়া যায় তবে মনে রাখতে হবে খালি পেটেও ভরা পেটে খাওয়ার যাবে নিচে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
সকালে: আমরা জানি খাবার থেকে পুষ্টি উপাদান রক্তের মাধ্যমে দেহের অন্যান্য অংশ পৌঁছায় অর্থাৎ সকালে খালি পেটে কোন খাবার খাওয়া হলে তা থেকে পুষ্টিকুণ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে অন্য খাবারের সাথে খেলে বা ভরা পেটে খেলে উপাদানগুলো পাকস্থলী থেকে দেখে সব জায়গায় পৌঁছাতে সময় বেশি লাগে এই কারণে বিশেষজ্ঞগণ সকালে খালি পেটে মরিঙ্গা পাউডার হওয়ার পরামর্শ দেন।
যদিও এ খাবারে কোন ক্যাফেন থাকে না তবুও সারাদিন সতেজ থাকার জন্য প্রয়োজনে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
রাতে: গবেষণায় দেখা গেছে রাতের বেলা মরিঙ্গা পাউডার খেলে তা আমাদের ঘুমের জন্য অনেক উপকারী বিশেষ করে রাতে আমাদের শরীর নানা ধরনের কর্মক্ষমতার দিয়ে মধ্য দিয়ে যায় এই সময়ে শরীরের পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন পড়ে সজনে পাতা আমাদের শরীরে এই সকল উপাদান সংগ্রহ করে বিশেষ করে রাতের বেলায় মরিঙ্গ পাউডার দ্রুত হজম হয়ে শরীরে বিভিন্ন অংশে পৌঁছে যায় এবং ফ্রেশ ঘুম হয়।
চায়ের সাথে:চা আমাদের দৈনের জীবন একটি গুরুত্বপূর্ণ পানীয় যেকোনো আড্ডে অথবা অবসর সময় আমরা চা খেতে পছন্দ করি মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার জন্য চা একটি উত্তম মাধ্যম তাছাড়া চায়ের সাথে এই পাউডার খাওয়ার জন্য অতিরিক্ত কোন প্রস্তুতি প্রয়োজন হয় না তাছাড়া এতে এক্সট্রা কোন খরচ করতে হয় না তাছাড়া এটি চায়ের মধ্যে নিহিত পুষ্টিগুণ আরো বাড়িয়ে তোলে বিশেষ করে গ্রিন টি হিসেবে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া অনেক উপকারী।
সরাসরি খাওয়া: কোন সম্পূরক খাদ্যের সাথে না মিশিয়ে শুকনো হিসেবে মরিঙ্গ পড়ার খাওয়া যায় এতে অতি দ্রুত এই বর্ডার হজম হয় এবং খাদ্য উপাদান ভেঙ্গে যায় তবে এভাবে খাওয়ার অনেকেরই কাছে অসুবিধা জনক মনে হবে কারণ শুকনো পাউডার খাওয়া যায় না এই ক্ষেত্রে আপনি দুধের সাথে অথবা পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
সৌন্দর্য ধরে রাখতে পাউডার এর ব্যবহার
মরিঙ্গা পাউডার বা সজনে পাতার গুড়া রয়েছে অনেক গুণ আন্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লমেটরি বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ এই পাতে আরও মিলে ভিটামিন এ বি সি ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম আয়রন ম্যাগনেসিয়াম ফসফরাস এছাড়াও অ্যামিনো এসিডের উৎস উপকারী সজনে পাতা নিয়মিত খেলে যেমন সুস্থ থাকতে পারবেন তেমনি ভালো থাকবে ত্বক সকালে পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন সজনে পাতা গুড়া জেনে নিন মরিঙ্গা কিভাবে আমাদের ত্বক ভালো রাখে।
ভিটামিন সমৃদ্ধ সজনে পাতা গুড়া ত্বকের শিবাম উপাদানের সহায়তা করে মরিঙ্গা পাউডার খেলে ত্বকের হাইড্রেশন ধরে রাখতে সম্ভব হয় ফলে ত্বক থাকে সতেজ ও সুন্দর প্রতিদিন সন্ধ্যে পাতার গুঁড়া মিশ্রিত পানি খেলে ত্বকে তরুণ্য ধরে রাখা সম্ভব কারণ এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোসকে ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত রাখে এমনো এসিড দারুন উচ্চ মরিঙ্গা নিয়মিত খেলে প্রাকৃতিকভাবে মশ্চারাইজার থাকে ফলে দূর হয় ত্বকে শুষ্কতা ও রুক্ষতা। প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি মেলে সজনে পাতায় উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি আমাদের ত্বকের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
মরিঙ্গা ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
মরিঙ্গা ক্যাপসুলটি খাওয়ার কারণে আপনাদের সকল রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। আমি একএক করে সবকিছু বলব আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন বার্ধক্য জনিত দুর্বলতা দূর করবে, স্বাস্থ্য অন্তরের সর্দি কাশি সমস্যাগুলো দূর করবে, ব্রেস্ট টিউমার জীবাণু ধ্বংস করবে, আমাশা দূর করবে, চোখ হাত পা জ্বালাপোড়া থেকে মুক্তি পাবেন, প্রসাবের জ্বালাপোড়া দূর করবে, লুকেরিয়া জনিত দুর্বলতা দূর করবে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে, ভিটামিন আইরন, ক্যালসিয়াম, মিনারেল এর অভাব দূর করবে।
রক্তস্বল্পতা দূর করবে। আমার অনিমিত পিরিয়ড নিয়মিত করবে, ঠান্ডা জনিত হাঁপানি সমস্যা দূর করবে, অর্শ এর সমস্যা দূর করবে টক্সিন ডি ভাইরাসের জীবাণুও ধ্বংস করবে, অস্ত্র প্রসেস বা হাড়ের ক্ষয় রোধ করবে, বাদজনিত সমস্যা দূর করবে এবং বাতজ্বর ও দূর করবে, শারীরিক দুর্বলতা দূর করবে গর্ভধারণের সাহায্য করবে, হাত-পা পিঠের ব্যথা ও শরীরের মাংসপেশে ব্যথা দূর করবে, দৃষ্টি স্বল্পতা বা চোখে কম দেখার সমস্যা সমাধান করবে, মানবদেহের যে হরমোন রয়েছে সে হরমোনের ঘাটতি পূরণ করবে।
মরিঙ্গা ক্যাপসুল এ আমরা সাধারণত অনেকগুলো উপকারিতা দেখতে পাচ্ছি এটি আমাদের জন্য অনেক উপকারী ক্যাপসুল করে। আমরা অনেক উপকারী হতে পারে এই মরিঙ্গা ক্যাপসুল থেকে।
মরিঙ্গা পাউডার এর সুবিধা কি কি হতে পারে
নিচে নিয়মিত মরিঙ্গা পাউডার খেলে কি কি উপকারিতা পাওয়া যাবে তা বর্ণনা করা হলো।
আর্সেনিক বিষাক্ত তা দূর করে: আর্সিক আমাদের হার্ট ও ত্বকের জন্য অনেক ক্ষতি করে গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘ সময় আর্সেনিকের সংস্পর্শে থাকলে তা হাটের বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করে অন্যদিকে আর্সেনিক স্কিন ক্যান্সারের অন্যতম প্রধান কারণ তবে মরিঙ্গা পাউডার থাকা পুষ্টি উপাদান এই বিষাক্ত তার দূর করতে সাহায্য করে।
কলেস্টোরেল কমায়: কোলেস্টরেল আমাদের দেহের অনেক ক্ষতি করে বিশেষ করে এল ডি এল কোলেস্টোরেল হার্টের বিভিন্ন সমস্যার জন্য দায়ী তো নিয়মিত মনিক পাউডার খেলে রক্তের কোলেস্ট্রল কমায়।
প্রদাহ কমায়: সজনে পাতার গুড়ের প্রদাহ বিরোধী উপাদান থাকে। এগুলো দেহের যেকোনো ধরনের প্রদাহ ও ব্যথা উপশম সহায়তা করে।
সরকার মাত্রা কমায়: রক্তে থাকা শর্করার ডায়াবেটিসের মতো বড় সমস্যার সৃষ্টি করে। মূলত এটি রক্ত থাকা রক্তে থাকা শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ইনসুলিনের মাত্রা কমায় যা হার্টের সমস্যার সহ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হ্রাস করে।তবে নিয়মিত পরিমাণ সজনে পাতার গুঁড়ো খেলে তা সর্করা মাত্রা কমাতে সাহায্য করে পক্ষান্তরে ডায়াবেটিস সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করে।
রক্তচাপ কমায়: মরিঙ্গা পাউডার প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রন থাকে যা রক্তের বিভিন্ন উপাদান তৈরি করে। এতে দেহে রক্ত উপাদান অনেক বেড়ে যায়। অন্যদেরকে এটি অতিরিক্ত রক্ত কমাতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে: সজনে পাতার গোড়ায় থাকা বিটা ক্যারোটিন চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। এতে দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাওয়াসহ চোখের স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
পাকস্থলীর সমস্যা নিরাময় করে: গবেষণায় দেখা গেছে মরিঙ্গা পাউডার প্রায় ৮৫% পাকস্থলীর ক্ষতিকারক এসিড ধ্বংস করে। যা আলসারসহ পেটের অনেক সমস্যা সমাধান করে। তাছাড়া এতে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
মরিঙ্গা পাউডার মুখে দিলে কি হয়
প্রতিদিন আমাদের স্কিনে বিভিন্ন ধরনের দূষণ এবং ইউ ভি রশির মধ্যে দিয়ে যায় যা স্কিনের জনক ক্ষতিকর এটি ত্বকের বিভিন্ন কোষের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে আক্রমণ করে ক্ষতিগ্রস্ত করে যার কারণে অল্প বয়সে স্কিনে রিঙ্কেজ দেখা দেয়।
বসের ছাপ পড়া কমায়: মরিঙ্গা পাউডারের গুরতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ভিটামিন এ এবং দূর করে সাথে ত্বকের এনে দেয় ও তরুণ্য দীপ্ত উজ্জ্বলতা যা বয়সের ছাপ পড়া কমায়।
প্রাকৃতিকভাবে স্ক্রিনে কোলাজেন তৈরি করে: কমলালেবুর তুলনায় সাত গুণ বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে সাজনা পাতায় ভিটামিন সি প্রকৃতি ভাবে ত্বকের কোলাজেন তৈরি করে স্থিতিশীল সাহায্য করে নির্যাস থেকে তৈরি ক্রিম ত্বকের গভীরে যে ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করে।
ঠোঁটের ময়শ্চারাইজার: মরিঙ্গা ওয়েলফোট ময়েশ্চারাইজার করতে বেশ কার্যকর বিভিন্ন অয়েল ব্যবহার হয় এটি ঠোঁট নরম ও কমল করে তোলে
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি: সজনে পাতা ত্বকের বিভিন্ন কালো দাগ দূর করে টপ ব্রাইট করতে সাহায্য করে সজনেপাতা পেস্ট ব্রনের দাগ বিভিন্ন কালো দাগ দূর করতে বেশ কার্যকর।
ব্রণ হ্রাস করে: মরিঙ্গা ওয়েলেট অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রোন দূর করতে সাহায্য করে শুধু তাই নয় ব্রণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে মরিঙ্গা পাতার পেস্ট ব্যবহার করলে তা দ্রুত সেরে যায়।
ত্বকের যত্নে মরিঙ্গা পাউডার এর ব্যবহার ,
মরিঙ্গা গুড়া মধু গোলাপজল এবং লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে পেজ তৈরি করুন প্যাকটি ত্বকে লাগে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন সুখে আসলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন প্যাক ব্যবহার পর অবসর ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।
মরিঙ্গা পাউডার এর দাম সম্পর্কে ধারণা
মরিঙ্গা পাউডার গুঁড়ো একটি সুপার ফুড সাধারণত এর পুষ্টিগুণের দিক বিবেচনা করে এর দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে তো আপনি যদি ৫০০ গ্রাম মরিঙ্গা পাউডার কিনতে চান তাহলে আপনাকে ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হবে আপনি যদি এক কেজি কিনতে চান ১২৮০ থেকে১৬০০ পর্যন্ত কিনতে পারেন।
এছাড়াও আপনি সব ভেদে ভেঙে ভেঙে 100 গ্রাম থেকে শুরু করে উপরে কিনতে পারবেন তবে কেনার সময় অবশ্যই দেখে নিবেন সেখানে খালি পাতা ব্যবহার করা হয়েছে না তার সাথে ডাল পাউডার ও ব্যবহার করা হয়েছে যদিও এই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া কঠিন তবে পরিচিত অথবা বিশ্বস্ত দোকান থেকে নিলে ঠকে যাওয়া সম্ভাবনা নেই।
মরিঙ্গা পাউডারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে ধারনা
সাধারণত প্রাকৃতিক খাবারের তেমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে না তবে অতিরিক্ত মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া হলে কিছু কিছু সমস্যা তৈরি হয়নি নিচে শেষ সম্ভাব্য সমস্যা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
আপনি যদি নিয়মিত ব্লাড প্রেসারের ওষুধ খান তাহলে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া যাবে না কারণ মরিঙ্গা পাউডার খাওয়ার পর প্রেসারে এমনিতেই কমে যায় প্রেসারের ওষুধের সাথে খাওয়ার হলে স্বাভাবিকের থেকে বেশি মাত্রায় প্রেশার ড্রপ করবে যা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে।
অতিরিক্ত পরিমাণে সজনে পাতার পাউডার খেলে তার হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে পারে অর্থাৎ মরিঙ্গা পাউডার বেশি পরিমাণে খেলে বমি ভাব খোদা মন্দা অস্থিরতা ও পেটের নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। গর্ভকালীন সময়ে আমাদের অনেক কিছু থেকে সতর্ক থাকা দরকার। সাধারণত রোহিঙ্গা পাউডার এর সাথে যে ডালগুলো থাকে তার শরীরের জন্য ক্ষতিকর এগুলো শরীরের প্রবেশ করলে ইমিউনিটি সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এ কারণে বিশেষজ্ঞগণ গর্ভকালীন সময় মরিঙ্গা পাউডার খেতে মানা করেছেন।
কিডনিতে কোন সমস্যা থাকলে মরিঙ্গা পাউডার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে যদিও দেহের পুষ্টি উপাদান ঠিক দেখার জন্য পরিমিত মাত্রায় খাওয়া যাবে তবে বেশি খেলে তাকে সমস্যা আরো বৃদ্ধি করতে পারে।
যদিও মরিঙ্গা পাউডার রক্তের শর্করা কমের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে তবে অন্যান্য ওষুধ বাদ দিয়ে খালি মরিঙ্গা পাউডার খেলে কোন ফল পাওয়া যাবে না কারণ এটি সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করে প্রতিষেধক হিসেবে নয়।
বিশেষজ্ঞ তথ্য মতে শত্রু গ্রামের বেশি মরিঙ্গে প্রোডাক্ট খেলে তার দেহে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল উপাদানের সাথে বিশ্বক্রিয়া করে বিষাক্ত করে ফেলতে পারে।
তাছাড়া এটি কিছু কিছু ওষুধের সাথে বিমুখী আচরণ করে দেহের জন্য ক্ষতিকর করে তোলে।
মরিঙ্গা পাউডার সম্পর্কে শেষ কথা
উপরিক্ত আলোচনায় মরিঙ্গা পড়ার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, সাধারণত সজনে গাছ আমাদের আশেপাশে হর হামেশাই দেখা যায় আমরা এর গুনাগুন সম্পর্কে জানিনা জন্য কখনো এই সুপারফোর্ড সম্পর্কে জানতে পারি নাই আশা করি এই লেখা পড়ে আপনি মরিঙ্গা পাউডার তথা সজনে পাতার উপকারী দিক সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url